আজকের এই পোষ্ট থেকে আপনারা জানতে পারবেন বিসিসি এবং সিসি কি জিনিস এবং এটা কেন ব্যবহার করা হয়।
আমরা সচরাচর ইমেইল করতে গিয়ে টু এর স্থলে আমাদের ক্লায়েন্ট এর ইমেইল এড্রেস দিয়ে থাকি। তবে আপনি খেয়াল করে দেখবেন, সেখানে সিসি আর বিসিসি নামে আরো দুইটা অপশন আছে । কেন এই টু এর পরিবর্তে এ দুটো অপশন রাখা হয়েছে? তা আপনি এই পোস্টটি পড়ার পর জানতে পারবেন।
প্রথমেই জেনে নিন এই বিসিসি মানে হচ্ছে ব্লাইন্ড কার্বন কপি । আর সি সি মানে হচ্ছে কার্বন কপি ।
যখন প্রেরক চাইনা যে তার প্রাপক বাকি ইমেইলগুলো দেখুক, তখন সে বিসিসি ব্যবহার করে। বিসিসি ব্যবহার করলে বা সেখানে গিয়ে আপনি যদি দুই বা ততোধিক প্রাপকগণ এর মেইল দেন তবে তারা একে অপরের ইমেইল কখনোই দেখতে পারবে না । এভাবে আপনি একই চিঠি, দুই বা ততোধিক ব্যক্তির কাছে দিতে পারবেন এবং তারা বুঝতেও পারবেনা।
আর আপনি যখন সিসি ব্যবহার করবেন তখন আপনার প্রাপকগণ একে অপরের ইমেইল এড্রেস দেখতে পারবেন। এভাবেও আপনি দুই বা ততোধিক ব্যক্তি কে বা প্রাপককে ইমেইল সেন্ড করতে পারবেন আর আপনি এই দুইটা জিনিসকে এই টু এর পরিবর্তে ব্যবহার করতে পারবেন। আপনি ব্লাইন্ড কার্বন কপি এর ব্যবহার তখন করতে পারবেন যখন এমন কোন দুই বা ততোধিক ব্যক্তি কে আপনি জানাতে চান না যে, আপনি একই ইমেইল দিয়ে তাদের কে ইনভাইট করছেন । তবে যদি আপনারা একটি টিম হিসেবে কাজ করেন তখন আপনি সকল টিম মেম্বার দের ইমেইল এড্রেস এর আন্ডারে লিখতে পারবেন । সর্বোপরি বিষয়টা দাঁড়ায় যে আপনি যদি গোপন রেখে কাউকে একই ইমেইল করতে চান তখন ব্লাইন্ড কার্বন কপি ব্যবহার করবেন । আর আপনি যদি সকলের উদ্দেশ্যে মেইলটি করেন কোন দ্বিধা-দ্বন্ধ ছাড়া তো সেখানে আপনি সিসি এর ব্যবহার করবেন।
আশা করি পোষ্টটি পড়ে উপকৃত হবেন। এবং কিছু শিখতে পেরেছেন।