কম্পিউটার জিনিসটা আপনি আপনার ইচ্ছামত সাজাতে গোছাতে পারবেন। কিন্তু ল্যপটপের ক্ষেত্রে আপনি এমনটি করতে পারবেন না। মূলত কম্পিউটারকে বহনযোগ্য করার উদ্দেশ্যে ল্যাপটপ বানানো হয়েছিল । কিন্তু কম্পিউটারের মত সব রকম সুবিধা ল্যাপটপের দেওয়া হয়ে ওঠেনি বা দেওয়া যায়নি । সব জিনিসের যেমন সুবিধা এবং অসুবিধা থাকে, তেমনি কম্পিউটার এবং ল্যাপটপ কিছু সুবিধা এবং অসুবিধা আছে । আর এই সুবিধা এবং অসুবিধা থাকার কারণেই আমরা এ দুটোকে আলাদা করতে পারি । এবং আমাদের প্রয়োজন মতো কিনতে পারি । তবে আমাদের দুইটা জিনিসই নিত্য প্রয়োজন।
কম্পিউটার এমন একটি ডিভাইস যেটার জন্য সবকিছু আলাদা আলাদা কিনতে হয় এবং আপনি যা ইচ্ছা তাই ব্যবহার করতে পারেন । আপনি এটাতে আপনার পছন্দমত পাওয়ার সাপ্লাই লাগাতে পারেন । আপনার পছন্দমত র্যাম লাগাতে পারেন । আপনার পছন্দমত কিবোর্ড, মাউস, প্রসেসর, গ্রাফিক্স কার্ড লাগাতে পারেন । কিন্তু ল্যাপটপ এমন কোন কিছুই আপনি পরিবর্তন করতে পারবেন না । কিছু সীমিত জিনিস থাকে যেগুলো আপনি ল্যাপটপ এ পরিবর্তন করতে পারেন । সেগুলো হচ্ছে র্যাম হার্ডডিক্স বা এসএসডি এবং কিবোর্ড । তবে ডিসপ্লের ক্ষেত্রে আপনি কিছুই পরিবর্তন করতে পারবেন না । যেটা আছে সেটাই শুধুমাত্র চেঞ্জ করতে পারবেন, কিন্তু কোন ধরনের আপডেট করতে পারবেন না।
তবে ল্যাপটপ আপনি বহন করতে পারবেন এবং যেখানে ইচ্ছা সেখানে নিতে পারবেন । বর্তমানে কম্পিউটার এর সমতুল্য করে ল্যাপটপ তৈরি করা হচ্ছে । তবে গতির ক্ষেত্রে বা পারফর্মেন্স এর ক্ষেত্রে কিছুটা সমস্যা দেখা দিয়েছে , যেটা মানানসই । কম্পিউটারে বেশি পাওয়ার নেই, কিন্তু ল্যাপটপে এমন টা করেনা । ল্যাপটপের ব্যাটারি ব্যাকআপ হিসেবে রাখা যায় । কিন্তু কম্পিউটারে ব্যাকআপ হিসেবে আপনাকে আলাদা করে ইউপিএস কিনতে হয় । ল্যাপটপের কিছু জিনিস থাকে যেগুলো আগে থেকে ইন্সটল করা । যেমন ব্লুটুথ এবং ওয়াইফাই রিসিভার, কিবোর্ড, টাচপ্যাড । কিন্তু কম্পিউটারের ক্ষেত্রে এগুলো সবই আলাদা আলাদা করে কিনতে হয় এবং নিজের মতো করে সেটাপ করতে হয়। পরিশেষে বলা যায় সবার গুরুত্ব সব জায়গা থেকে পরিমাপ করা যায় না।