আজকের এই পোস্টে আপনারা জানতে পারবেন কিভাবে এইচডিডি কাজ করে এবং এসএসডি কাজ করে। দুইটাই কম্পিউটারের স্টোরেজ ডিভাইস হিসেবে কাজ করে।
একটা সময় ছিল যখন কম্পিউটার অন হতে 4 থেকে 5 মিনিট সময় লাগত । কিন্তু বর্তমান যুগে এসে তা 20 থেকে 30 সেকেন্ড সময় নেয় । কম্পিউটার সম্পূর্ণ লোড হতে সময় নেই 30 সেকেন্ড। আর সেটা সম্ভব হয়েছে এই এসএসডির কারণে । এসএসডি বা সলিড স্টেট ড্রাইভ । আর এইচ ডি ডি হচ্ছে হার্ডডিস্ক ড্রাইভ । এইচডিডি হচ্ছে মেগ্নেটিক ডিস্ক বা মেকানিক্যাল ডিস্ক । যেটা ব্যবহার করা হয় এইচডিডি বানানোর জন্য আর এসএসডি হচ্ছে সলিড স্টেট ড্রাইভ ব্যবহার করা হয় বানানো হয় লজিক্যাল ডিস্ক ব্যবহার করে ।
HDD কি?
কম্পিউটার যন্ত্রাংশের মধ্যে একটি অন্যতম যন্ত্র হল স্টোরেজ ইউনিট। যেটি আপনার ডাটা বা তথ্য সংরক্ষন করে রাখে। আর স্টোরেজ বলতেই আমরা বুঝি এইচডিডি বা হার্ড ডিস্ক ড্রাইভ। এইচডিডি সাধারণত মেকানিকাল ড্রাইভ যাতে কিছু ঘুরন্ত ডিস্ক বা চাকতি থাকে । সেখানে অপনার সমস্ত তথ্য সংরক্ষিত হয়ে থাকে। তথ্যসমূহ সংরক্ষন করার জন্য একটি মেক্যানিকাল আর্ম থাকে । যা ম্পিউটারে ডাটা রিড এবং রাইট করে থাকে।
এই স্টোরেজ যন্ত্রটি যত তাড়াতাড়ি ঘুরবে তত দ্রুততার সাথে ডাটা রিড এবং রাইটের কাজ হবে। সাধারণত এই মেকানিক্যাল হার্ড ড্রাইভ 5400 কিংবা 7200 আরপিএমের হয়ে থাকে। বর্তমানে ১০০০০ আরপিএম ও এসে গেছে। তবে সার্ভার বেসড হার্ড ড্রাইভ 15000 আরিপিএম এর হয়ে থাকে।
হার্ড ড্রাইভের সবচেয়ে বড় সুবিধা হল এর সাশ্রয়ী দাম। কম দামে এতে সংরক্ষনের জন্য যথেষ্ট জায়গা পাওয়া যায়। বর্তমানে একটি 1 টেরাবাইট বা 1024 গিগাবাইট হার্ড ড্রাইভের দাম 3800 টাকার আশেপাশে হয়ে থকে। এই ধরনের হার্ড ড্রাইভের সাইজ সাড়ে তিন ইঞ্চি এবং আড়ই ইঞ্চি হয়ে থাকে। ডেস্কটপ ব্যবহারের জন্য সাধারনত সাড়ে তিন ইঞ্চি হার্ড ড্রাইভ হয়ে থাকে । অন্যদিকে ল্যাপটপের জন্য আড়াই ইঞ্চির হার্ড ড্রাইভ হয়ে থাকে। সাশ্রয়ী দামে এত সুবিধা থাকলেও আসুবিধা হচ্ছে এই যন্ত্রাংশটির রিড এবং রাইট স্পিড অনেক ধীর। এছাড়া বাজারে পাওয়া যায় এক্সটারনাল হার্ডডিস্ক ড্রাইভ। যা দিয়ে আপনি ডাটা সংরক্ষন করে রাখতে পারবেন।
SSD কি?
সাধারণত মেকানিক্যাল হার্ড ড্রাইভে থেকে অপেক্ষাকৃত দ্রুত যন্ত্রাংশ হইল এসএসডি। এসএসডি এর অর্থ হল সলিড স্ট্রেট ড্রাইভ (Solid State Drive)। এই ধরনের স্টোরেজ ইউনিটে কোন ধরনের মুভিং পার্টস থকেনা। মুভিং পার্টস না থাকাতে এর মধ্যে থাকে ন্যান্ড ফ্ল্যাশ মেমরী যা নন ভোলটাইল বা ভুলে যাবে না এমন ধরনের ফ্ল্যাশ মেমরী। একই ন্যান্ড ফ্ল্যাশ মেমরী র্যামও ব্যবহার করা হয় তবে সেটি ভোলাটাইল। যাইহোক এসএসডি তে ডাটা সংরক্ষণ করার জন্য এতে কন্ট্রোলার ইউনিট থাকে যেটি খুব দ্রুততার সাথে ডাটা প্রসেসিং করে । এখানে কন্ট্রোলারটি খুবই গুরুত্বপূর্ন কারন রিড এবং রাইট এর গতি নির্ভর করে এই কন্ট্রোলারের উপরে।
হার্ড ড্রাইভের আকারের মত এসএস ডি তেও কিছু অাকারের ধরন রয়েছে। এসএসডি SATA, mSATA এবং M.2 এই 3 ধরনের আকারে হতে পারে। সাটা এসএসডি গুলো সাধারণত আড়াই ইঞ্চি হার্ড ড্রাইভ আকারে হয়ে থাকে। এম সাটা ছোট বোর্ড আকারে হয়ে থাকে। অন্যদিকে এম. টু এসএস ডি লম্বা পিসিবি বোড আকারে হয়ে থাকে।
সাধারন সাটা এসএসডি ইন্সটলেশনের নিয়ম হার্ড ড্রাইভ ইন্সটলেশন মতই। কিন্তু এম সাটা এবং এম ডট টু এসএসডির ক্ষেত্রে মাদারবোর্ড আলাদা স্লট থাকে।